দ্বিতীয়াংশ


রিকশা থেকে নেমে হাত লম্বা করে ভাড়া দিয়ে যাত্রী সরে দাড়াল, একটু রাস্তার বামে চেপে। লোকাল বাসগুলো অশালীন ভাবে চেপেচুপে রাখছে পুরা রাস্তা। যেটুকু ভেতরে যেতে না পারছে, সেখানে লোকাল হকারের ছোট ছোট পশরা। মাঝে ডিভাইডারের চিপাতে বসে প্লাস্টিকের টুল চেপে ট্রাফিক পুলিশ হাত নেড়ে বেয়াড়া ইজিবাইকের চৌদ্দগোষ্টি নিপাতে মগ্ন। হতশ্রী পুলিশি ইউনিফর্ম পরে ম্লান মুখে মুখাগ্নিপাত করে যাচ্ছে সে। অনেকেই মাথায় বস্তা ভর্তি আলু প্পেয়াজ রসুন নিয়ে রাস্তা পারের খেলাতে ব্যাস্ত। এলাকার মিষ্টান্ন ভান্ডারে মাছি খদ্দেরের আনাগোনা। চিনির দামে মিষ্টীর ব্যবসায়ীদের পিছে বাঁশ। তবে তাদের জমিদারি ভাবখানার কমতি নেই! রিকশা থেকে নেমে আসা যাত্রী ততক্ষনে ভাই ভাই মিষ্টান্ন ভান্ডারে ঢুকে গেছে। হয়ত নতুন কুটুমবাড়ি যাবে। তার জন্য দাম যতই হোক পরনিন্দার ভয়ে নিতেই হবে কালচারের ভয়ে নিতে হচ্ছে। “আসুন দাদা...” বলে মধ্যবয়ষ্ক দোকানী ডেকে নিল তাকে। চার পাচ পদের মিষ্টি সাজিয়ে রাখা, তার মধ্যে দু তিন জাতে আবার উপরে বিস্কুটের গুড়া ছিটান। নাক উপরে টেনে খরিদ্দার দোকানীর দিকে তাকাল । “কোনটার কত দাম?” খরিদ্দার এর প্রশ্ন শুনে দোকানী আশা ভরে কন্ঠে উত্তর দিল “নিন না দাদা ভাল মিষ্টি। আমাদের নিজেদের বানান। সব।”