শুন্যাংশ


ছ'তলার উপর থেকে যতবার নিচের দিকে উকি দেয়া পড়ে, কাটা গাছের গুড়ি আর পাশে খোড়া গর্ত দেখা যায়। শুন্য স্থান পুরনের জন্য আগের কোন রাতের ঝরে পড়া বৃষ্টির জমে থাকা ফোটা ছোট ডোবা, আর তার মাঝে সাতরে বেড়ান মশার বাচ্চা । মশার সদ্যা ফোটা বাচ্চা কালেচে পানিতে ডুবসাতার শিখছে। দু'দিন বাদে ডানা পাখনা মেলে কেউ শাকপাতা ছিড়বে, কেউ মানুষের রক্ত ভোজনে ব্যাস্ত হবে। বেচে থাকা আর বংশ বৃদ্ধির তাগিদে । ভাঙ্গা গর্তের পাশে শেউলা জমা পাচিল। তাতে নাম না জানা মাশরুম। মাশরুম বড় হবে বটে তবে গাছ কিন্তু হবে না। গলা খাকারি দিয়ে কোন ফেরিওলা এই ভাঙ্গা নিবেন বলে উত্তরের রাস্তা বেয়ে চলেছে। ছাদের উপরের মাথা যে দেখছিল পেছনে সরে একটু স্বস্তি নিল। আসলে শুন্যতা চোখে বাধছে । অনেকদিনের দেখার অভ্যাসে সয়েছিল চোখ জোড়া। এই শুন্যতা সয়ে নিতেও সময় লাগবে । রোদ বৃষ্টি আর গরম ঠান্ডাতে কালচে বরণ পাতা গুলো এখন সবুজের তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে, মনে মনে।