১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ঃ
আজ তেসরা আশ্বীন । মাসের তিন দিন হল অশ্ব মাথার উপরে সমাসীন । প্রচন্ড গরমে রোম রোম ঘেমে আকুল । বাংলা মাষের নামকরণ কিভাবে হল জানতে ঘাটছিলাম ।
আদি রসাত্মক অংশ বাদ দিলে বেশ রোমান্টিক আর কি । ভাদুরে গরমের তেজ, আর কার্তিক আসবে বলে বার্তা পাঠাচ্ছে ।
চমতকার সময় অসুস্থ হবার ।
ও হ্যা অশ্বিনী তারার নামে এ বাংলা মাসের নাম । ঘোড়া থাকা অবস্থায় সুর্য বাবু আর তাহার স্ত্রী সংজ্ঞা দেবীর নকুল আর সহদেবের জন্ম হয় ।
সুর্যের স্ত্রী সংজ্ঞা ভালই । সু রসিক ছিল বেটারা ।
কিছু নতুন তথ্য মাথাতে ঢোকাতে মন চাইছে । একজাম পরে হবে ।
আজকে ৫ ডলার হুদাই নষ্ট করলাম । তবে কাল রাতে বেশ কথা হল তাহার সাথে । রাত দুটোর সময় তক পটর পটর করিয়া ঘুম গেছি । অফিসে ঢোকার আগে শান্টীং ।
যার কোন কুল নেই তারে কিন্তু নকুল বলে না । আজ কয়েকটা ছোট গল্প পড়লাম । ভাষার চলন , মুখেরটা সাহিত্যে এসে বেশ উপকার হয়েছে । তা বলে একবারে মুখের কথা, না তেমন কেমন লাগে ।
তার জন্য বঙ্কিম এর বাকা কথা নিশ্চয় এ আমলের ছেলে পুলে মিম বানিয়ে ছেড়ে মজা লূটত ।
ইশ চিঠিগুলোর উত্তর করা হচ্ছে না । কাল দেখব খন ।
ঘোড়ার নামে মাস হলেও মাস কিন্তু লাফিয়ে পার হচ্ছে না ।
আচ্ছা হিন্দু দেবতাদের গায়ের রঙ সাদা কিউ? এটা কি রেসিজম না? দু একজন ছাড়া তো কারো রঙ কালো ছিল তা পাই নি ।
তাতে আমার কি? আদার বেপারী লবঙ্গের খবর নিয়ে লাভ কি?
#Sailyf
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ঃ
প্রথম জনের গল্পঃ
রাতের কয়েকটা পহর থাকে, বা প্রহর । একেক প্রহরে একেক ধরনের চিন্তা ভাবনা ভর করে । ভর রাত্রে একলা লাগে, শেষ রাতে উদাস লাগে, ধর্ম ভর করে ।
বারটা বাজতে কয়েক মিনিট আছে । অদ্ভুত । আমি সেকেন্ড কাউণ্ট করতেছি, কিন্তু সেকেন্ড আমাকে পাত্তাই দিতাছে না । আচ্ছা এই সেকেন্ড নামকরণ কিভাবে হল?
সেকেন্ডের পর সব মিলি, মাইক্রো, ন্যানো হয়ে যায় । কিন্তু সেকেন্ড সেকেন্ডই থাকে । নামকরণের বিষয়টা রহস্যময় ।
আগে নাম আসে না কার্যকরণ? বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলে পরিচয়, তো ফল আগে আইল না বৃক্ষ । বিচি আগে আইলে বিচিরে জন্ম দিছে কেডা?
এ দ্বারা বোঝা গেল এখন প্রশ্নোত্থান পর্ব চলে । প্রশ্ন শেষ হবার না, উত্তর শেষ হয়ে গেলেও । তবে এ কারণে জীবন বয়ে চলে । প্রশ্ন প্রবাহে । উত্তর মিলে গেলে জীবনে বেচে থাকার কোন কারণ থাকে না । আর মনে হয় এ কারণে পয়সাওয়ালাদের ভেতরে আত্মধংসের প্রবণতা বেশী । গরীব হলে অনেক প্রশ্নের উত্তর টাকার ভেতরে থাকে । আর ধনী হয়ে গেলে সেগুলো অনেক উত্তর আপনা আপনি মিলে যায় ।
তিন মিনিট আছে । আজকে অফিসের বিষয়ে কিছু লিখব না । থাক না ব্যাস্ততা ব্যাস্ততার আড়ালে ।
#Sailyf
চৌদ্দ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ঃ
প্রথমজনের গল্পঃ
দ্বায়িত্ববোধ কেউ ঘাড়ে চাপিয়ে নিতে চায় না, কেবল সহ্যক্ষমতা থাকতে হবে । আর বহন করার মানসিকতা ।
সকালে অফিসে আসার আগে আমার যত হুড়মুড়িয়ে কাজ বাধে, সেরে আজ খিচুড়ি খেয়ে ভাল মানূষের মত অফিসে ঢুকতেই শুরু ।
নামাজে গিয়ে ঠান্ডা মাথাতে চিন্তা করে যা পেলাম তা উপরে ।
আজ ফাইনাল আছে একটা, আবহাওয়া চরম গম্ভীর, না বর্জে না বর্ষে । সেটা নিয়ে চিন্তিত ।
সকাল থেকে এখনব্দি, পত্রিকা দেখতে পারলাম না । খবর বেশীরভাগ সময় মন খারাপ করে দেয়। তারপরেও এটা অভ্যাস। একটু চোখ বুলিয়ে নেয়া । পড়া তো হয় না । অত ডিটেইলস কে পড়বে? কত কত এপস বের হয়েছে , সেভ করে পরে পড় ।
সে একটা কথা আছে, সাধু বেটাই মন্ত্র পড়ে, পাঠা বলে, আমার বালে শুনে । পরে আর পড়া হয় না। সংক্ষেপ করতে করতে, নিজেই চিমসে যাচ্ছি আমরা ।
মিরপুর যাওয়া নিয়ে আসলেই চিন্তিত । আবার স্যারের কাজটা । হয়েও হচ্ছে না ।
দেখি কি হয় । সময়ের উপরে আমার বিশ্বাস অনেক ।
#Sailyf
সেপ্টেম্বর তের, ২০১৮
প্রথম জনের গল্পঃ
সকালে প্রথম প্রহরের ঘুম ভাংছে আজ, মোবাইলের রিং শুনে, জানালা অফ করেন, বৃষ্টি আসছে ।টলতে টলতে জানালা অফ করে, বিছানাতে কাত হতে গিয়ে টের পেলাম ডান সাইডে বেশ ব্যাথা । বেথা চেপে পাশ পালটে ঘুম । স্বপ্নে রজনীকান্ত দেখছিলাম, নাচতে গিয়ে আবার বেথা, বিহিত করার কথা ভেবে চোখ অর্ধেক খুলে সম্মুখে রুমমেটের সদ্য কামান মুখ, কেলিয়ে ডাকে, অফিসে যান, ঘুমাব ।
তারপর থেকে মাথার ভেতরে অবিরাম কে যেন গুনগুনাচ্ছে
“ গোল্লায় নিয়ে যাচ্ছে আমার হাওয়ায় জলের গাড়ি
গোল্লা হল তীর্থস্থান অশেষ উপকারী ।”
উপকার না ছাতার মাথা ।
রাস্তাতে জলের অভাব, কিন্তু কাদার না । ইলেক্ট্রিক মোটর চলাইত যানবাহন নিষেধ হবার পর, নয়া দুর্ভোগের টানা কদিন ভুগছি। না পারা যায় সওয়া না যায় বলা ।
তারপর আর কি, যা প্রতিদিন তাই । আগামী রবিবার বলে আবার ব্যাঙ্কে যাওয়া লাগবে , নতুন পেড়া । সামনে পরীক্ষার শিডিউল পেয়েছি । সে চিন্তায় জটিল ঘুম হচ্ছে । চোখের জন্য সিনারন না কি যেন একটা দিয়েছিল ডক, স্নায়ু ঠান্ডা করবে । মর জ্বালা আমার স্নায়ু ঠান্ডা করবে বেডা, মনে চাই, কুড়ালের উলটাপিঠ দিয়া ওর চশমার ডাটি ভেঙ্গে দেই।
আজকের প্রথম আলোতে চোখ বুলিয়ে কেস কি দেখছি । ঋণখেলাপি । মনে হচ্ছে বুড়াগুলারে যেন সরিয়ে দিতে পুরান কিন্তু, কার্যকরী কৌশল চালাচ্ছে । এরা বোধহয় কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঘোট পাকাচ্ছে । তার জন্য কৌশল হতে পারে । দুইটাই পাওয়ার কোম্পানি । ঢাকা আর রাজশাহীর । বলে না, সব রসুনের পোদ একস্থানে । মোবাইলের বিল বাড়তি, পেপারে কয়েকটা পাতার কাটতি, আর কিছু পাবলিকের লিখতে নয়া ইস্যু।
যেটা বড় কথা, এটা সেপ্টেম্বর, তাই তের । শরতের শুভ্র কি যেন? আমার কাজের সময় ভুলে যাবার রোগ আছে । মনে হলে এডিট করে নিবনে। এলান গিন্সবার্গ (না গিনেসবার্গ? যে বার্গ হোক বেটা ইহুদি বাগ ।) সেপ্টম্বর অন যশোর রোড না কি যেন লিখে ইয়ে করে ফেলেছিল । দেখেছিল হরিদাশপুর রোড, কেমনে যশোর হইল ? এসব আজাইরা খিচুড়ি না?
#Sailyf